বীমা কি এবং কেন প্রয়োজন

বীমা কি: বীমা হলো একটা চুক্তি। যে চুক্তির মাধ্যমে বীমা কোম্পানী কর্তৃক বীমা গ্রহীতার চাহিদা মোতাবেক ঝুঁকির বিপরীতে প্রিমিয়াম গ্রহন সাপেক্ষে তার জীবন ও সম্পত্তি নিরাপত্তা বিধান করে। আরো বিস্তারিত  ভাবে বলা যায়, বীমা হল অর্থের বিনিময়ে জীবন, সম্পদ বা মালামালের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির ন্যায়সঙ্গত ও নির্দিষ্ট ঝুঁকির স্থানান্তর। এর মাধ্যমে ব্যক্তি বা বীমা প্রতিষ্ঠান অর্থের (প্রিমিয়ামের) বিনিময়ে গ্রাহকের আংশিক বা সমস্ত সম্ভাব্য ঝুঁকি গ্রহণ করে থাকে। এটি অনিশ্চিত ক্ষয়ক্ষতি এঁড়ানোর জন্য ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার একটি অংশ।নির্দিষ্ট আকস্মিক ঘটনার ঝুঁকি জন্য বীমাকারী কর্তৃক ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতিতে বীমাগ্রহীতা কর্তৃক অর্থ প্রদানের চুক্তি হল বীমা।

কেন প্রয়োজনঃ বীমা গ্রহীতার নিশ্চিত জীবন যাপন এবং ব্যবসা বানিজ্যে সচল ও ঝুঁকিমুক্ত রাখার জন্যই বীমা প্রয়োজন। সাধারনত বীমা শুধু অর্থ প্রদানের জন্য নয় বরং সম্ভাব্য বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়।দেশগত ভাবে এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বীমার এক বিরাট অবদান রয়েছে।আধুনিক বিশ্বে বিভিন্ন দেশের জাতীয় মূলধনের বিরাট অংশ বীমার তহবিল থেকে সংগৃহীত হয়।বীমা কোম্পানীর এ তহবিলে দেশের বড় বড় শিল্প ও বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এর স্হাপিত হয় এবং দেশের শিল্প ও বাণিজ্যিক অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করে।আরো উল্লেখ্য, বীমার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণের ব্যাবস্হা না থাকলে কোন বড় শিল্প বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠিত করার ঝুঁকি কেউ গ্রহন করত না।বর্তমানের দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বীমা পরিধি আন্তর্জাতিক ভিত্তিতে বিস্তৃত।আমদানি রফতানী বাণিজ্যের সম্প্রসারণে বীমার অবদান উল্লেখযোগ্য।বীমার ছত্রছায়ায় রপ্তানী বাণিজ্যের মাধ্যমে একটি দেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে তার অর্থনৈতিক ভিত্তি সুদৃঢ় করে। তা্ই বীমাকে বলা হয়ে থাকে Invisible Export |বীমার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে এক কথায় বলতে গেলে এর কোন বিকল্প নেই ।

বীমা করলে কি কি সুবিধা ?

বীমা কোম্পানী দূঃসময়ে বীমা গ্রহীতার পাশে দাড়িয়ে তার আর্থিক ও জীবনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদান করে। জীবনে চরম সত্য, যেকোন সময় এই অনিশ্চয়তাপূর্ণ পৃথিবীতে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটে গেলে বীমা মানুষের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বিধান করে। ব্যাক্তিগত ভাবেই হোক কিংবা প্রতিষ্ঠানিক ভাবেই হোক অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হলে বীমার মাধ্যমে টা পূরণ করা সম্ভব।

বীমা করার ধাপসমূহ কি কি;

  • প্রস্তাবিত বীমা গ্রহীতার প্রস্তাব পত্র পূরণ ।
  • প্রিমিয়াম গ্রহণ এবং চুক্তিপত্র প্রদান।

প্রিমিয়াম কি ;

বীমা গ্রহীতার প্রয়োজন অনুযায়ী ঝুঁকির বিপরীতে যে অর্থ বীমা কোম্পানী গ্রহন করে থাকে তাকে প্রিমিয়াম বলে। বীমা কোম্পানী গুলোকে  প্রিমিয়াম প্রদানের মাধ্যমে বীমাকৃত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সব ধরনের সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে মুক্ত থাকে । অসংখ্য বীমাকৃত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে বীমা কোম্পানিগুলো মূলধন বৃদ্ধি করে।

মোট বীমা অংক কি ;

  • বীমাগ্রহীতা তার সম্পদ বা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের যে পরিমান অংকের উপর বীমা ঝুঁকি গ্রহন করে থাকে, তাকে বীমা অংক বলে। অর্থাৎ ঝুঁকির বিপরীতে নির্দিষ্ট সম্পদের মোট মূল্যকে বীমা অংক বলে।
  • যেমন: একজন ব্যক্তি একটি গাড়ি বীমা করবেন যার মূল্য ৬০ লক্ষ্য টাকা, উক্ত ৬০ লক্ষ্য টাকা হল বীমা অংক। অন্যান্য বীমার ক্ষেত্রে একই ভাবে মোট বীমা অংক নির্ণয় করা হয়।

প্রিমিয়ামের হার কি ভাবে র্নিধারণ করা হয়;

বীমা কোম্পানী র্কতৃক নর্ধিারতি প্রস্তাব পত্ররে তথ্যরে ভত্তিতিে প্রমিয়িামরে হার নর্ধিারন করা হয়। প্রয়োজন বোধে র্সাভে কোম্পানীর মাধ্যমে র্সাভরে তথ্যরে ভত্তিতিে ও প্রয়োজনীয় তথ্যরে মাধ্যমে ঈজঈ র্কতৃক অনুমোদতি টরেফি এর ভত্তিতিে প্রমিয়িাম হার নর্ধিারন করা হয়।ক্ষতপিূরণরে জন্য বীমাগ্রহীতাকে বীমাকারী নর্দিষ্টি প্রমিযি়ামরে বনিমিয়ে নর্দিষ্টি পরমিাণ র্অথ প্রদান করার প্রতশ্রিুতি প্রদান কর।েএর উপর ভত্তিি করে বমিাগ্রহতিা , বীমাকারীর বীমা করা যায় ক িনা, করল েক িপরমিাণ প্রমিযি়াম র্ধায করব েইত্যাদি বষিয়ে সদ্ধিান্ত উপনতি হয়। বীমাগ্রহীতা যদি একই সম্পদরে জন্য একাধকি বীমাকারী নর্ধিারণ করে থাক,ে তবে সকল বীমাকারীর নকিট থকেে আনুপাতকি হার েক্ষতরি মূল্য নর্ধিারণ করা হয় বধিায় পরর্বতীকালে ক্ষতি পূরণরে নীতি পুরোপুর িভাব েপ্রয়োগ করা যায়। সম্পদরে ব্যবহাররে উপর প্রমিযি়ামরে হার নর্ভির কর।ে যমেন; আপনার গাড়ী ব্যক্তগিত না ক িবাণজ্যিকি উদ্দশ্যেে ব্যবহার হচ্ছে কনিা, সটোর উপর নর্ভির করে বীমার প্রমিযি়াম েতারতম্য ঘট।ে বাণজ্যিকি গাড়ী বশেি ব্যবহৃত এবং তা অনকেটা অসর্তক ভাব েব্যবহার করা হয়। ফলে ব্যক্তগিত গাড়ি অধকি নরিাপদ হয়। আর সজেন্য প্রমিয়িামরে হার ও কম হয়।

বীমা পরিকল্প কি ;

বীমা চুক্তি পত্রকে বীমা পরিকল্প বলে । অন্যভাবে বলতে গেলে, বীমা প্রতিষ্ঠানের প্রদত্ত সেবা সমূহকে বীমা পরিকল্প বলে। বীমা করার সিদ্ধান্ত গ্রহনের পর প্রথমে যা প্রয়োজন তা হলো বীমাগ্রহীতার চাহিদার সাথে মানাসই পরিকল্পটি কোন বীমা প্রতিষ্ঠান দিচ্ছে, তা খুঁজে দেখা। প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠনটির ওয়েব সাইট দেখতে পারে।

লা্ভজনক/অলা্ভজনক/টার্ম পরিকল্প কি;

আপনার উদ্যোগটি লাভজনক বা অলাভজনক যাই হোক না কনে এটার আসল উদ্দশ্যে হওয়া উচতি অন্যরে উপকার বা সমস্যা নরিসন করা।

  • লাভজনক  পরকিল্প হল একটি তথ্য যা র্বণনা করে নতুন ব্যবসার পণ্য বা পরসিবো, কীভাবে সঠকি র্পযায়ে র্অথ উর্পাজন করা যায়। নতেৃত্ব,র্কমী নযি়োগরে পাশাপাশি কীভাবে ব্যবসায় অল্প পুঁজতি েলাভ করা যায়। লাভজনক পরকিল্পর প্রমিয়িামরে মধ্যে ঝুকরি মূল্য ও মূলধন বনিয়িোগরে অংশ দুটোই থাক।ে
  • অলাভজনক পরকিল্প হলো সইে সব পরকিল্প, যা প্রমিয়িামরে মধ্যে শুধু ঝুঁকরি মূল্য থাকব।ে
  • র্টাম পরকিল্প হলো সাধারণত অবসররেে বয়সরে উপর ভত্তিি করে নর্দিষ্ঠি বছররে জন্য প্রমিয়িামরে হার নর্ধিারন করা।ঐ সময়রে মধ্যে বীমাগ্রহীতার মৃত্যু না হলে নর্ধিরতি সময়রে পর বীমা গ্রহতিা কোন ক্ষতপিুরণ পাবনো।

আমাদের প্রতিষ্ঠানের পরিকল্প সমূহ ;

Motor Insurance (Comprehensive/Act Liability)

  • Motor Insurance for Commercial Vehicle
  • Motor Insurance for Private Vehicle
  • Motor Insurance for Cycle/Scooter

Fire Insurance

  • Fire Insurance (including Allied Perils)
  • Industrial All Risks (IAR)
  • Fire Insurance Consequential Loss
  • Fire Insurance Dwelling House and Contents
  • Fire Insurance Hotel Combined

Marine Cargo Insurance

  • Marine Cargo Insurance transit by Steamer of Powered Vessel (Import/Export)
  • Marine Cargo Insurance transit by Rail/Lorry/Truck(Import/Export)
  • Marine Cargo Insurance transit by Inland Rail or Road Conveyance
  • Marine Cargo Insurance transit by Inland Cargoes (water borne)
  • Marine Cargo Insurance transit by Air Cargo (Import/Export)

Marine Hull Insurance (TLO & TC)

Engineering Insurance

  • Machinery Insurance(Machinery Breakdown)
  • Deterioration of Stock (DOS)
  • Boiler and Pressure Vessel (BPV)
  • Electronic Equipment Insurance (EEI)
  • Erection All Risks (EAR)
  • Contractor’s All Risks (CAR)
  • Engineering Insurance Consequential Loss

Miscellaneous/Accident Insurance

  • Burglary & House Breaking Insurance
  • Cash in safe (CIS)
  • Cash in Transit (CIT)
  • Cash in Counter (COC)
  • People Personal Accident (PPA)
  • Workman’s Compensation (WC)
  • Business Interruption
  • Fidelity Guarantee Insurance
  • Product Liability Insurance
  • Personal Accident (PA)
  • Public Liability (PL)
  • Professional Liability
  • Overseas Mediclaim Policy for Business & Holidays Tour (OMP)

Aviation Insurance

বীমা চুক্তি কি;

বীমা চুক্তি হচ্ছে বীমাকারী এবং বীমা গ্রহীতার মধ্যে একটি লিখিত সম্মতি। যাতে বীমা গ্রহীতা নির্দিষ্ট পরিমান প্রিমিয়াম দিবেন যার বিনিময়ে নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে পলিসিতে উল্লেখিত ঝুঁকি দ্বারা বীমাকৃত সম্পত্তি বা দায় দায়িত্বের ক্ষতি ঘটলে বীমাকারী বীমা গ্রহীতাকে সেই ক্ষতিপুরণ প্রদান করতে বাধ্য থাকবে। চুক্তির মাধ্যমে বীমা প্রতিষ্ঠান অর্থের (প্রিমিয়ামের) বিনিময়ে গ্রাহক আংশিক বা সমস্ত সম্ভাব্য ঝুঁকি গ্রহণ করে থাকে। এই চুক্তি অন্যান্য চুক্তি থেকে একটু ব্যতীক্রম। এই চুক্তিতে অন্যান্য চুক্তির মত জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্প এর প্রয়োজন পড়ে না।

বীমা প্রস্তাব কি;

বীমা প্রস্তাব হচ্ছে বীমাকারীর নিকট বীমা গ্রহীতা তার সম্পদের সুরক্ষার জন্য একটি অনুরোধ। এটি লিখিত, মৌখিক ও টেলিফোনের মাধ্যমে হতে পারে।তবে এটা সাধারনত বীমাকারীর মুদ্রিত প্রস্তাব পত্রে বীমা গ্রহীতার স্বাক্ষর ও তারিখসহ তার সম্পদের ঝুকির সমস্ত বিবরন (নাম, ঠিকানা, বীমা অংক ইত্যাদি)প্রকাশ করে থাকে। অর্থাৎ নির্দিস্ট শর্তের মধ্যে বীমা গ্রহীতা তার সম্পদের ঝুকি গ্রহনের জন্য বীমাকারী বীমা কোম্পানীকে বীমা করার জন্য অনুরোধ করেন তাকেই বীমা প্রস্তাব বলা হয়।

বীমা চুক্তি করতে হলে বীমা গ্রাহককে কি কি তথ্য ও কাগজ পত্র দিতে হয়;

বীমা হল অর্থের বিনিময়ে জীবন, সম্পদ বা মালামালের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির ন্যায়সঙ্গত ও নির্দিষ্ট ঝুঁকির স্থানান্তর এর মাধ্যমে বীমাগ্রহীতা এবং বীমাকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পাদিত হওয়া একটি আধুনিক চুক্তি। তবে উভয় পক্ষকেই স্মরণ রাখতে হবে যে চুক্তিতে বর্ণিত প্রতিশ্রুতিগুলো তারা ভবিষ্যতে মেনে চলবেন।যাতে ঝুঁকির বিপরীতে সুনির্দিষ্ট প্রিমিয়াম পরিশোধের প্রতিদান হিসেবে বীমাকারী প্রতিষ্ঠান বীমাগ্রহীতাকে ক্ষতিপুরণ প্রদান করতে বাধ্য থাকবে। পারস্পরিক সম্মতির অন্যতম নিদর্শন হলো চুক্তির শর্তাবলী উল্লেখপূর্বক একটি লিখিত চুক্তিসম্পাদন করা। বীমা প্রস্তাব পত্র অনুযায়ী বীমা গ্রহনকারীকে সঠিক তথ্য প্রদান করতে হয় এবং উল্লিখিত তথ্যের বিপরীতে কাগজ জমা দিতে হয়।   যথা:

  • স্বাক্ষর ও তারিখসহ পূর্ণ প্রস্তাবপত্র।
  • ঝুঁকির মালিকানার প্রমাণপত্র।
  • ব্যক্তি ও অব্যক্তি বীমা গ্রহীতার ক্ষেত্রে KYC ফরমের যাবতীয় তথ্য পূরণ সাপেক্ষে।

বীমা গ্রাহককে কি কি বিষয় যাচাই করতে হয়;

  • ঝুকির পূর্ন প্রকাশ নিশ্চিত করা।
  • চুক্তির শর্তাবলি সম্পর্কে চুক্তিবদ্ধ পক্ষদ্বয়ের মধ্যে অবশ্যই পারস্পারিক সম্মতি থাকতে হবে।
  • চুক্তির পক্ষ গুলো অবশ্যই তাদের নিজেদের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ আইনগত বিষয়গুলোকে বিনিময় করতে হবে।
  • চুক্তি বৈধ উদ্দেশ্যে হতে হবে এবং এরর আইনগত যোগ্যতা থাকতে হবে।

প্রিমিয়াম কেন বিনিয়োগ করা হয় ;

মূলধন বৃদ্ধি এবং ঝুকি হ্রাস করার জন্যই বীমাকারি প্রিমিয়াম বিনিয়োগ করে থাকেন। জাতীয় মূলধনের একটি বিরাট অংশ বীমা তহবিল হতে সংগ্রহীত হয়, যা একটি দেশের শিল্প ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।

এজেন্ট কি এবং এজেন্টের কাজ কি ;

এজেন্ট বীমা প্রতিষ্ঠান এবং বীমা গ্রহিতার মধ্যে বীমা সেবা প্রদান ও গ্রহন শর্ত সাপেক্ষে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার মধ্যস্ততা স্বরূপ সেতু বন্ধন হিসেবে কাজ করে থাকে। ঝুকি নেয়ার ক্ষেত্রে বীমা এজেন্ট বা মধ্যস্ততাকারী অপরদিকে বীমা গ্রহীতাকে সম্যক বিষয়ে পারদর্শী হতে হবে। তাকে বীমা গ্রহীতার পলিসির শর্তসমুহের পূর্ণ প্রকাশ করতে হবে।

বীমা এজেন্টের কাজ ;

  • বীমাকারীকে পলিসির বিস্তারিত ঝুকি বিষয়ে অবহিত করা।
  • বীমাকারীর চাহিদা জেনে সেবা সম্পর্কে অবহিত করা।
  • বীমা গ্রহণের জন্য উপযুক্ত কিনা যাচাই করা।
  • কোম্পানীর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে গ্রাহককে জানানো।
  • গ্রাহককে বীমা এজেন্টের সুবিধামত পরিকল্প চাপিয়ে না দেয়া।

সার্ভেয়ার কি এবং কি কাজ করে;

  • সার্ভেয়ার এর আভিধানিক  অর্থ জরিপকারী। বীমা দাবীর ক্ষতি  সঠিক ভাবে নিরূপণের জন্য সরকার কর্তৃক অনুমোদিত যেসব প্রতিষ্ঠান নিয়জিত থাকে তাদেরকে সার্ভেয়ার বা জরিপকারী বলে।
  • সার্ভেয়ার তৃতীয় পক্ষ হিসেবে বীমাকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত হয়। যাদের কাজ হচ্ছে দুর্ঘটনায় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কারন উৎঘাটন এবং প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ, সত্যতা যাচাই এবং বীমা দাবী যাতে কম বা বেশি না হয় সেভাবে প্রতিবেদন পেশ করা। প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে বীমাকারী বীমা দাবী পেশ করতে পারে।

বীমাকারী কিভাবে বীমা দাবী পরিশোধ করে;

বীমাকারী নিম্ন লিখিত বিষয় বিবেচনা করে বীমা দাবী পরিশোধ করে।

প্রথম ধাপঃ

  • দাবী পরিশোধ যোগ্য কিনা এবং ক্ষতির কারণ ।
  • একাধিক কারনে ক্ষতি হয়ে থাকলে নিকটবর্তি কারন এবং ঐ কারণ বীমার আওতাভুক্ত আছে কিনা।
  • কোন বীমা নীতি বা বীমা চুক্তি লংঘন করা হয়েছে কিনা
  • পলিসিতে সংযোজিত কোন ওয়ারেন্টির বরখেলাপ করা হয়েছে কিনা।

দ্বিতীয় ধাপঃ

  • বীমা পরিশোধ যোগ্য হলে কি পরিমাণ দাবী পরিশোধ করতে হবে উভয় ক্ষেত্রে সার্ভেয়ার এর রিপোর্ট এর উপর ভিত্তি করে বীমা দাবী পেশ করা হয়।

বীমাকারী কখন গ্রাহককে বীমা দাবীর সাথে বোনাস প্রদান করে;

বীমাকারী যখন বীমা গ্রহিতাকে এন্ডাওমেন্ট পলিসি ইস্যু করে তখন বীমা গ্রাহককে দাবীর সাথে বোনাস প্রদান করে।(জীবনবীমার ক্ষত্রে প্রজেয্য)

তামাদি পলিসি কি; কেন তামাদি হয়;

  • জীবনবীমা পলিসির ক্ষত্রে অনেক সময় বীমা গ্রহিতা পলিসি নিয়ে কিছুদিন প্রিমিয়ামের কিস্তি প্রদান করার পর  কিস্তি প্রদান করতে ব্যর্থ হয়। তখন স্বভাবতই বীমাকারী চুক্তি বাতিল করতে বাধ্য হয়।  তখন এটিকে তামাদি পলিসি বলা হয়।
  • সাধারণ বীমার ক্ষত্রে শুধুমাত্র নৌ-বীমায় ( Marine Cargo Insurance) , অনেক সময় বীমার গ্রহিতা কাভার নোট গ্রহনের পর, পলিসি ইস্যু কারার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দিতে ব্যর্থ হয়। কাভার নোটের মেয়াদ থাকাকালীন গ্রহক কর্তৃক তা বাতিল করা না হলে, মেয়াদ উর্ত্তীনর পর কাভার নোটের Cover note Conversion Policy (CCP) করা হয়। CCP এক প্রকারের তামাদি পলিসি ।

পলিসি তামাদি হলে গ্রাহকের কি ক্ষতি হয়;

পলিসি তামাদি হলে গ্রাহক পলিসিতে  উল্ল্যেখি সকল প্রকার সুবিধা সমূহ থাকে বঞ্চিত হয়।

সার্ভাইবাল বেনিফিট এবং পেইড আপ পলিসি কি;

সার্ভাইবাল বেনিফিটঃ

  • জীবন বীমার ক্ষেত্রে বীমাকারী যদি একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বীমা পলিসি গ্রহন করে এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ পর্যন্ত বেঁচে থাকে তখন সে বীমা অংকের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ফেরত পায়, তাকে সার্ভাইবাল বেনিফিট বলে আর যদি সে মারা যায় তাহলে তার মনোনী ত ব্যক্তি পলিসির চুক্তি মোতাবেক সম্পূর্ণ অর্থ পায়।

পেইড আপ পলিসিঃ

  • সাধারণত জীবন বীমার ক্ষেত্রে তিন বছর প্রিমিয়াম দেওয়ার পর বীমা গ্রহিতা উক্ত পলিসিকে পেইড আপ পলিসি হিসেবে ঘোষণা করতে পারে এবং বীমা কারী উক্ত পলিসি বাতিল করতে পারবে না। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর বীমা গ্রহিতার মৃত্যু অথবা পলিসির মূল পরিবর্তিত হলে ক্ষতিপুরন বা আনুপাতিক হারে বীমা অংক ফেরত পাবে এবং পূর্ণ মেয়াদ এর আগ পর্যন্ত বীমা সুবিধা চালু থাকবে।

কম্প্রিহেন্সিভ ও থার্ডপার্টি মোটর ইনস্যুরেন্স কি এবং কোনটির কি কি সুবিধা রয়েছে?

কম্প্রিহেন্সিভ বীমা পলিসিঃ

কোন কারনে গাড়ির কোন ক্ষতি সাধন হলে বা গাড়ির দ্বারা তৃতীয় পক্ষের কারও ক্ষতিসাধন হলে গাড়ির মালিক অথবা তৃতীয় পক্ষকে ইনস্যুরেন্স কোম্পানি আইন অনুযায়ী যেই আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে ক্ষতির দায় মেটায় সেটিই কম্প্রিহেন্সিভ মোটর ইনস্যুরেন্স

সুবিধাঃ

কম্প্রিহেন্সিভ বীমা পলিসিতে গাড়ির মালিককে ক্ষতিপুরন দিয়ে থাকে বীমা কোম্পানি। এই পলিসির আওতায় কোন গাড়ি যদি দুর্ঘটনার কবলে পরে তাহলে দুর্ঘটনা থেকে উদ্ভুত গাড়ির বা গাড়ির মালিকের কোন ক্ষতি হলে বা উক্ত গাড়ি দ্বারা অন্য কোন গাড়ির ক্ষতি হলে উভয়কেই ক্ষতিপুরন দিয়ে থাকে বীমা কোম্পানি।

থার্ডপার্টি বীমা পলিসিঃ

তৃতীয় পক্ষের বা থার্ডপার্টি মোটর ইনস্যুরেন্স সকল গাড়ি মালিকের জন্য বিধি সম্মত ভাবে আবশ্যক। কারণ, সার্বজনিন কোন স্থানে গাড়ি ব্যবহার করার ফলে যদি তৃতীয় পক্ষের কোন ক্ষতি সাধন হয় থাকে তাহলে গাড়ির মালিকই দায়ী। তাই সার্বজনিন স্থানে বীমা ছাড়া গাড়ি চালানো আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।

সুবিধাঃ

থার্ডপার্টি বীমা পলিসির আওতাধীন কোন গাড়ি যদি দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে গাড়ির ক্ষতির জন্য গাড়ির মালিককে কোন ক্ষতিপুরন দেয়া হয় না। গাড়ির মাধ্যমে তৃতীয় কোন ব্যক্তির ক্ষতিসাধন হলে কেবল সেই ক্ষতির দায়ভার নেবে বীমা কোম্পানি।

রিইনস্যুরেন্স কি? এর সুবিধা কি?

রিইনস্যুরেন্স হচ্ছে পুনঃবীমা। ঝুঁকি হস্তান্তরের প্রক্রিয়াকে পুনঃবীমা বলে। অর্থাৎ বীমাকারী কর্তৃক বীমাকৃত সম্পত্তির পুনরায় বীমা করাই হচ্ছে রিইনস্যুরেন্স। মুলত এর মাধ্যমে ঝুঁকি একজনের উপর না থকে অনেকের কাঁধে ন্যস্ত করা যায়।

সুবিধাঃ

  • রিইনস্যুরেন্সের মাধ্যমে ঝুঁকি হস্তান্তর করা যায়। বীমা গ্রহিতা যেমন নিজেদের ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য বীমা করে থাকেন তেমনি বীমাকারীও নিজেদের প্রতিষ্ঠানের উপর বিপুল পরিমাণ ঝুঁকি হস্তান্তরের মাধ্যমে ভার মুক্ত থাকতে চান।
  • রিইনস্যুরেন্স বীমাকারীর বাড়তি অনাকাঙ্ক্ষিত ঝুঁকির ভার বহন করে।
  • প্রিমিয়াম ফান্ডের উপর যদি বীমাদাবীর অতিরিক্ত চাপ পড়ে তবে বীমাকারী আর্থিক ঝুকিতে পরে। ফলে বীমা দাবী সময়মত পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়। রিইনস্যুরেন্স কোম্পানির লাভ ক্ষতিকে স্থিতিশীল রাখে এবং বীমা কোম্পানির দ্রুত অগ্রগতিকে সহায়তা করে।
  • রিইনস্যুরেন্স না করা থাকলে বিরাট আকারের ঝুঁকি নেয়া সম্ভব হয় না এবং বীমা ব্যবস্থার বিস্তার আন্তর্জাতিক ভাবে হতো না।
  • রিইনস্যুরেন্স ব্যবস্থা না থাকলে কোন বীমা কোম্পানির পক্ষে কাজ করাই সম্ভব হত না এবং যেকোনো সময় যেকোনো কোম্পানির পতন ঘটতে পারত।

বীমা দাবী প্রাপ্তির আইনগত অধিকার কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়;

বীমা হচ্ছে বীমা গ্রহিতা এবং বীমা কারীর মধ্যে আইনগত চুক্তির প্রমাণ। একজন বীমা গ্রহীতা যখন বীমা পলিসিতে গ্রহনকৃত ঝুঁকি দ্বারা অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা জনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হন এবং ক্ষতিগ্রস্ত সম্পদের ক্ষতির স্বপক্ষে চাহিদামত যথোপযুক্ত কাগজপত্রাদি দাখিল করেন তখনই বীমাদাবী প্রাপ্তির আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। বীমার মধ্যে যেসব শর্তাবলি থাকে ঐ শর্তাবলির মাধ্যমেই বীমা গ্রহিতার দাবীর আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়।

বীমা দাবী প্রাপ্তির জন্য গ্রাহককে কি কি করতে হবে?

বীমা কোম্পানি বীমা দাবী পরিশোধ করে না, এই কথা সত্য নয়। বীমা কোম্পানি গুলো বীমা পলিসি যেসব আইনের উপর নির্ভর করে, সে সব আইন মেনে চললে কোম্পানির বীমা দাবী পরিশোধ না করার কোন সুযোগ থাকে না।

  • বীমা গ্রহিতা বীমার শর্ত মোতাবেক বীমা কারীকে লিখিত বা অন্য কোন ভাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অবহিত করতে হবে।
  • ক্ষতির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়রি করতে হবে।
  • ক্ষতির কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে নিয়োগকৃত জরিপকারিকে তথ্য ও কাগজপত্র দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে।
  • ক্ষতি সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য ও কাগজ পত্রাদি বীমা কোম্পানির দাবী বিভাগে সরবারহ করতে হবে। যেমনঃ মোটর বীমার ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন কপি, ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন, রুট পারমিট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ড্রাইভারের বক্তব্য, মেরামত সম্পর্কিত তিনটি দরপত্র।
  • অগ্নি বীমার ক্ষেত্রে, জিডি, ফায়ার ব্রিগেড রিপোর্ট, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত সম্পদের ক্রয়ের রশিদ, ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রে স্টক রিপোর্ট, বৈদ্যুতিক সংযোগের বৈধ কাগজপত্র, ফায়ার লাইসেন্সের কপি, দাবীর বিল ইত্যাদি।
  • নৌ-বীমার ক্ষেত্রে, বিল অফ লোডিং, কমার্শিয়াল ইনভয়েস, প্যাকিং লিস্ট, বিল অফ এন্ট্রি, সর্ট লোডিং/নন ডেলিভারি সার্টিফিকেট, ক্যারিয়ারের সাথে ক্ষতি সম্পর্কিত যোগাযোগের কপি।

ন্যায্য বীমা দাবী নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে পরিশোধ না করলে কি হারে সুদসহ দাবী পরিশোধ করবে;

বীমা আইন অনুযায়ী বীমা দাবী উত্থাপনের তারিখ হতে ৯০ দিনের মধ্যে বীমাকারী কোম্পানি দাবী নিষ্পত্তি করতে বাধ্য। ঐ সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে বীমাকারী তফসিল ব্যাংক সুদের হারে মাসিক ভিত্তিতে হিসাব করে দাবী পরিশোধের দিন পর্যন্ত সুদসহ দাবী পরিশোধ করবেন।

ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক প্রতিকারের জন্য কোথায় কোথায় অভিযোগ দাখিল করবেন;

ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক প্রাথমিকভাবে বীমাকারীর নিকট অভিযোগ দাখিল করবে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে বীমাকারী দাবী পরিশোধে ব্যর্থ হলে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং পরিশেষে দেশে প্রচলিত আদালতে অভিযোগ দাখিল করতে পারবে।